গাওয়া ঘি এর উপকারিতা-
- গবেষকদের মতে, গাওয়া ঘি বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর। এ কারণেই আয়ুর্বেদে ওষুধ হিসেবে ঘি ব্যবহার করা হয়।
- ঘি তে উচ্চ পরিমাণে কনজুগেটেড লিনোলেনিক অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং ক্যান্সার ও হৃদরোগের মতো জটিল রোগ প্রতিরোধ করে।
- এতে থাকা ভিটামিন “এ”, “ই”, “ডি” এবং “কে” হাড়কে খুব শক্তিশালী করে এবং ঘি মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করে। আর বিউটারিক অ্যাসিড মানবদেহের পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- গাওয়া ঘি প্রোটিন, ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে সমৃদ্ধ। এছাড়াও স্যাচুরেটেড, মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে।
- পুষ্টিবিদরা জানান, দুধে কেসিন নামক রাসায়নিক উপাদান থাকে এবং এর উপস্থিতির কারণে অনেকের পেটে ঘি হজম হয় না। কিন্তু পেটে ঘি হজম না হলেও খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ।
পরিশেষে বলা যায়, ঘি এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে ঘি খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে। শারীরিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ঘি খান।
গাওয়া ঘি চেনার উপায়
- ঘি খাঁটি কিনা তা বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হল একটি প্যানে গরম করা। গরম প্যানে এক চামচ ঘি দিন। যদি সাথে সাথে গলে এবং গাঢ় বাদামী রঙে পরিণত হয়, তবে এটি খাঁটি ঘি। যদি ঘি গলতে সময় লাগে হলুদ হয়ে যায় বুঝবেন আপনি ভুল করছেন। এটি খাঁটি গাওয়া ঘি নয়।
- আপনার তালুতে ১ চা চামচ ঘি নিন। ত্বকের সংস্পর্শে এসে যদি ঘি নিজে থেকেই গলে যায়, তাহলে সেটি খাঁটি গাওয়া ঘি।
গাওয়া ঘি সংরক্ষণ পদ্ধতি
- বাতাস প্রবেশ করতে পারে না—এমন জারে ঘি রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো।
- এটা রান্নাঘরের কেবিনেটে অন্ধকার ও ঠাণ্ডা স্থানে রাখতে হয়।
- ঘি এর জার এয়ার টাইট হলে আর রেফ্রিজারেটরে রাখার দরকার নেই।
- জারের মুখ সবসময় আটকে রাখতে হবে।
- ঘি উঠাতে হবে শুকনা চামচ ব্যবহার করতে হবে।
Reviews
There are no reviews yet.